(০১)
আমি ফাইসা গেছি
আমি ফাইসা গেছি,
আমি ফাইসা গেছি,
আমি ফাইসা গেছি
মাইনকার চিপায়।
আমারও দিলের চোট
বোঝে না কোনো হালায়।।
কোন্ পাগলে পাইছিল
করছে শখের শাদী।
ক্ষমতার ঝিম-তিম,
ভাবে শাহজাদী।
সকাল-বিকাল, রাইত-দুপুর
বউয়ে দেয় ঠেলা।
কয় ‘বউ পুষার মুরাদ নয়
তয় বিয়া করছস কেলা।’
আমি এধার কামাল ওধার করি
সারাদিন ফেচকি মারি।
দিনের বেলায় আরতদারী
রাইতে চোরাকারবারি।
দিন-দুনিয়া সবই গেল
জীবন ভেস্তে যায়।।
মাইয়া আমার চিজ একখান
যেমুন ফিল্মের নায়িকা,
মাধুরী, ঐশ্বরিয়া, কাজলরে
কয় অফ যা।
পোলায় আমার শিক্ষিত
পড়ে দশ কেলাসের উপরে।
হাত খরচা না দিলে
ইংলিশে গাইল পাড়ে।
মনে মনে কই আমি
গাইলের আর হুনছস কি
আমগ গাইল হুনলে পড়ে
খাড়াইব মুরগাদি।
আমি হালায় কুলুর বলদ
ফাইটা জীবন যায়।।
আমি ফাইসা গেছি,
আমি ফাইসা গেছি
মাইনকার চিপায়।
আমারও দিলের চোট
বোঝে না কোনো হালায়।।
কোন্ পাগলে পাইছিল
করছে শখের শাদী।
ক্ষমতার ঝিম-তিম,
ভাবে শাহজাদী।
সকাল-বিকাল, রাইত-দুপুর
বউয়ে দেয় ঠেলা।
কয় ‘বউ পুষার মুরাদ নয়
তয় বিয়া করছস কেলা।’
আমি এধার কামাল ওধার করি
সারাদিন ফেচকি মারি।
দিনের বেলায় আরতদারী
রাইতে চোরাকারবারি।
দিন-দুনিয়া সবই গেল
জীবন ভেস্তে যায়।।
মাইয়া আমার চিজ একখান
যেমুন ফিল্মের নায়িকা,
মাধুরী, ঐশ্বরিয়া, কাজলরে
কয় অফ যা।
পোলায় আমার শিক্ষিত
পড়ে দশ কেলাসের উপরে।
হাত খরচা না দিলে
ইংলিশে গাইল পাড়ে।
মনে মনে কই আমি
গাইলের আর হুনছস কি
আমগ গাইল হুনলে পড়ে
খাড়াইব মুরগাদি।
আমি হালায় কুলুর বলদ
ফাইটা জীবন যায়।।
(০২)
চাকরিটা আমি পেয়ে গেছি বেলা
চাকরিটা আমি
পেয়ে গেছি বেলা শুনছো
এখন আর কেউ আটকাতে পারবেনা
সম্বন্ধটা এই বার তুমি ভেস্তে দিতে পারো
মা-কে বলে দাও বিয়ে তুমি করছো না
চাকরিটা আমি পেয়ে গেছি বেলা সত্যি
আর মাত্র কয়েকটা মাস ব্যাস
স্টার্টিংয়েই ওরা ১১০০ দেবে তিন মাস পরে কনফার্ম
চুপ করে কেন বেলা কিছু বলছো না
এখন আর কেউ আটকাতে পারবেনা
সম্বন্ধটা এই বার তুমি ভেস্তে দিতে পারো
মা-কে বলে দাও বিয়ে তুমি করছো না
চাকরিটা আমি পেয়ে গেছি বেলা সত্যি
আর মাত্র কয়েকটা মাস ব্যাস
স্টার্টিংয়েই ওরা ১১০০ দেবে তিন মাস পরে কনফার্ম
চুপ করে কেন বেলা কিছু বলছো না
এটা কি ২৪৪১১৩৯
বেলা বোস তুমি পারছো কি শুনতে
১০-১২ বার রং নাম্বার পেরিয়ে তোমাকে পেয়েছি
দেবো না কিছুতেই আর হারাতে
হ্যালো ২৪৪১১৩৯
দিন না দেকে বেলাকে একটিবার
মিটারে যাচ্ছে বেড়ে পাবলিক টেলিফোনে
জরু্রি খুব জরুরি দরকার
বেলা বোস তুমি পারছো কি শুনতে
১০-১২ বার রং নাম্বার পেরিয়ে তোমাকে পেয়েছি
দেবো না কিছুতেই আর হারাতে
হ্যালো ২৪৪১১৩৯
দিন না দেকে বেলাকে একটিবার
মিটারে যাচ্ছে বেড়ে পাবলিক টেলিফোনে
জরু্রি খুব জরুরি দরকার
স্বপ্ন এবার হয়ে
যাবে বেলা সত্যি
এতোদিন ধরে এতো অপেক্ষা
রাস্তার কতো সস্তা হোটেলে
ব্যস্ত ক্যাবিনে বন্দী দুজনে
রুদ্ধশ্বাস কতো প্রতীক্ষা
আর কিছু দিন তারপর বেলা মুক্তি
কসবার ঐ নীল দেয়ালের ঘর
সাদা-কালো এই জঞ্জালে ভরা মিথ্যে কথার শহরে
তোমার আমার নাল-নীল সংসার
এতোদিন ধরে এতো অপেক্ষা
রাস্তার কতো সস্তা হোটেলে
ব্যস্ত ক্যাবিনে বন্দী দুজনে
রুদ্ধশ্বাস কতো প্রতীক্ষা
আর কিছু দিন তারপর বেলা মুক্তি
কসবার ঐ নীল দেয়ালের ঘর
সাদা-কালো এই জঞ্জালে ভরা মিথ্যে কথার শহরে
তোমার আমার নাল-নীল সংসার
চুপ করে কেন একি
বেলা তুমি কাঁদছো
চাকরিটা আমি পেয়ে গেছি সত্যি
কান্নাকাটির হল্লাহাটির সময় গেছে পেরিয়ে
হ্যালো তুমি শুনতে পাচ্ছো কি
চাকরিটা আমি পেয়ে গেছি সত্যি
কান্নাকাটির হল্লাহাটির সময় গেছে পেরিয়ে
হ্যালো তুমি শুনতে পাচ্ছো কি
এটা কি ২৪৪১১৩৯
বেলা বোস তুমি পারছো কি শুনতে
১০-১২ বার রং নাম্বার পেরিয়ে তোমাকে পেয়েছি
দেবো না কিছুতেই আর হারাতে
হ্যালো ২৪৪১১৩৯
দিন না দেকে বেলাকে একটিবার
মিটারে যাচ্ছে বেড়ে পাবলিক টেলিফোনে
জরু্রি খুব জরুরি দরকার
বেলা বোস তুমি পারছো কি শুনতে
১০-১২ বার রং নাম্বার পেরিয়ে তোমাকে পেয়েছি
দেবো না কিছুতেই আর হারাতে
হ্যালো ২৪৪১১৩৯
দিন না দেকে বেলাকে একটিবার
মিটারে যাচ্ছে বেড়ে পাবলিক টেলিফোনে
জরু্রি খুব জরুরি দরকার
হ্যালো ২৪৪১১৩৯
হ্যালো ধুর ছাই হ্যালো।।
হ্যালো ধুর ছাই হ্যালো।।
(০৩)
সময় গেলে সাধন হবে না
সময় গেলে সাধন
হবে না
দিন থাকতে দ্বীনের সাধন কেন জানলে না
তুমি কেন জানলে না
সময় গেলে সাধন হবে না
দিন থাকতে দ্বীনের সাধন কেন জানলে না
তুমি কেন জানলে না
সময় গেলে সাধন হবে না
জানো না মন খালে
বিলে
থাকে না মিল জল শুকালে ।।
কি হবে আর বাঁধা দিলে
মোহনা শুকনা থাকে, মোহনা শুকনা থাকে,
সময় গেলে সাধন হবে না
সময় গেলে সাধন হবে না
থাকে না মিল জল শুকালে ।।
কি হবে আর বাঁধা দিলে
মোহনা শুকনা থাকে, মোহনা শুকনা থাকে,
সময় গেলে সাধন হবে না
সময় গেলে সাধন হবে না
অসময়ে কৃষি কইরে
মিছা মিছি খেইটে মরে
গাছ যদি হয় বীজের জোরে ফল ধরে না
তাতে ফল ধরে না,
সময় গেলে সাধন হবে না ।।
গাছ যদি হয় বীজের জোরে ফল ধরে না
তাতে ফল ধরে না,
সময় গেলে সাধন হবে না ।।
অমাবস্যায়
পূর্নিমা হয়
মহা জোগ সে দিনের উদয় ।।
লালোন বলে তাহার সময়
দনডোমো রয় না, দনডোমো রয় না,দনডোমো রয় না
সময় গেলে সাধন হবে না
মহা জোগ সে দিনের উদয় ।।
লালোন বলে তাহার সময়
দনডোমো রয় না, দনডোমো রয় না,দনডোমো রয় না
সময় গেলে সাধন হবে না
দিন থাকতে
দ্বীনের সাধন কেন জানলে না
তুমি কেন জানলে না
সময় গেলে সাধোন হবে না।।
তুমি কেন জানলে না
সময় গেলে সাধোন হবে না।।
(০৪)
খাঁচার ভিতর অচিন পাখি
খাঁচার ভিতর অচিন
পাখি
কেমনে আসে যায়
তারে ধরতে পারলে মন বেড়ি
দিতাম পাখির পায়ে।
কেমনে আসে যায়
তারে ধরতে পারলে মন বেড়ি
দিতাম পাখির পায়ে।
আট কুঠুরী নয়
দরজা আটা মধ্যে মধ্যে
ঝরকা কাঁটা
তার উপরে সদর কোঠা
আয়না মহল তায়ে।
দরজা আটা মধ্যে মধ্যে
ঝরকা কাঁটা
তার উপরে সদর কোঠা
আয়না মহল তায়ে।
কপালের ফের নইলে
কি আর
পাখিটির এমন ব্যবহার
খাঁচা ভেঙ্গে পাখিয়ামার কোন খানে পালায়।
পাখিটির এমন ব্যবহার
খাঁচা ভেঙ্গে পাখিয়ামার কোন খানে পালায়।
মন তুই রইলি
খাঁচার আসে
খাঁচা যে তোর কাঁচা বাঁশের
কোন দিন খাঁচা পড়বে খসে
ফকির লালন কেঁদে কয়।
খাঁচা যে তোর কাঁচা বাঁশের
কোন দিন খাঁচা পড়বে খসে
ফকির লালন কেঁদে কয়।
(০৫)
আমি অপার হয়ে বসে আছি
আমি অপার হয়ে বসে আছি
ও হে দয়াময়,
পারে লয়ে যাও আমায়।।
আমি একা রইলাম ঘাটে
ভানু সে বসিল পাটে-
আমি তোমা বিনে ঘোর সংকটে
না দেখি উপায়।।
নাই আমার ভজন-সাধন
চিরদিন কুপথে গমন-
নাম শুনেছি পতিত-পাবন
তাইতে দিই দোহাই।।
অগতির না দিলে গতি
ঐ নামে রবে অখ্যাতি-
লালন কয়, অকুলের পতি
কে বলবে তোমায়।।
ও হে দয়াময়,
পারে লয়ে যাও আমায়।।
আমি একা রইলাম ঘাটে
ভানু সে বসিল পাটে-
আমি তোমা বিনে ঘোর সংকটে
না দেখি উপায়।।
নাই আমার ভজন-সাধন
চিরদিন কুপথে গমন-
নাম শুনেছি পতিত-পাবন
তাইতে দিই দোহাই।।
অগতির না দিলে গতি
ঐ নামে রবে অখ্যাতি-
লালন কয়, অকুলের পতি
কে বলবে তোমায়।।
(০৬)
মিলন হবে কত দিনে
মিলন
হবে কত দিনে
আমার মনের মানুষের সনে।।
চাতক প্রায় অহর্নিশি
চেয়ে আছি কালো শশী
হব বলে চরণ-দাসী,
ও তা হয় না কপাল-গুণে।।
মেঘের বিদ্যুৎ মেঘেই যেমন
লুকালে না পাই অন্বেষণ,
কালারে হারায়ে তেমন
ঐ রূপ হেরি এ দর্পণে।।
যখন ও-রূপ স্মরণ হয়,
থাকে না লোক-লজ্জার ভয়-
লালন ফকির ভেবে বলে সদাই
(ঐ) প্রেম যে করে সে জানে।।
আমার মনের মানুষের সনে।।
চাতক প্রায় অহর্নিশি
চেয়ে আছি কালো শশী
হব বলে চরণ-দাসী,
ও তা হয় না কপাল-গুণে।।
মেঘের বিদ্যুৎ মেঘেই যেমন
লুকালে না পাই অন্বেষণ,
কালারে হারায়ে তেমন
ঐ রূপ হেরি এ দর্পণে।।
যখন ও-রূপ স্মরণ হয়,
থাকে না লোক-লজ্জার ভয়-
লালন ফকির ভেবে বলে সদাই
(ঐ) প্রেম যে করে সে জানে।।
(০৭)
জাত গেল জাত গেল বলে
জাত গেল জাত গেল বলে
একি আজব কারখানা
সত্য কাজে কেউ নয় রাজি
সবি দেখি তা না-না-না।।
আসবার কালে কি জাত ছিলে
এসে তুমি কি জাত নিলে,
কি জাত হবা যাবার কালে
সে কথা ভেবে বল না।।
ব্রাহ্মণ চন্ডাল চামার মুচি
এক জলেই সব হয় গো শুচি,
দেখে শুনে হয় না রুচি
যমে তো কাকেও ছাড়বে না।।
গোপনে যে বেশ্যার ভাত খায়,
তাতে ধর্মের কি ক্ষতি হয়।
লালন বলে জাত কারে কয়
এ ভ্রম তো গেল না।।
একি আজব কারখানা
সত্য কাজে কেউ নয় রাজি
সবি দেখি তা না-না-না।।
আসবার কালে কি জাত ছিলে
এসে তুমি কি জাত নিলে,
কি জাত হবা যাবার কালে
সে কথা ভেবে বল না।।
ব্রাহ্মণ চন্ডাল চামার মুচি
এক জলেই সব হয় গো শুচি,
দেখে শুনে হয় না রুচি
যমে তো কাকেও ছাড়বে না।।
গোপনে যে বেশ্যার ভাত খায়,
তাতে ধর্মের কি ক্ষতি হয়।
লালন বলে জাত কারে কয়
এ ভ্রম তো গেল না।।
(০৮)
পদ্মার ঢেউ রে
পদ্মার ঢেউ রে
মোর শুণ্য হৃদয় পদ্ম নিয়ে যা যারে।।
মোর শুণ্য হৃদয় পদ্ম নিয়ে যা যারে।।
এই পদ্মে ছিলো রে
যার রাঙা পা
এই পদ্মে ছিলো রে যার রাঙা পা
আমি হারায়েছি তারে
আমি হারায়েছি তারে।।
এই পদ্মে ছিলো রে যার রাঙা পা
আমি হারায়েছি তারে
আমি হারায়েছি তারে।।
মোর পরাণও বধু
নাই
পদ্মে তাই মধু নাই, নাইরে
পরাণও বধু নাই
পদ্মে তাই মধু নাই, নাইরে
বাতাস কাঁদে বাইরে
সে সুগন্ধ নাইরে
পদ্মে তাই মধু নাই, নাইরে
পরাণও বধু নাই
পদ্মে তাই মধু নাই, নাইরে
বাতাস কাঁদে বাইরে
সে সুগন্ধ নাইরে
মোর রূপেরও
সরষিতে, আনন্দ মৌমাছি।
নাহি ঝংকারে রে।।
নাহি ঝংকারে রে।।
ও পদ্মা রে,
ঢেউয়ে তোর ঢেউ উঠায় যেমন চাঁদেরও আলো।
মোর বধুয়ার রূপ তেমনি ঝিলমিল করে কৃষ্ণ-কালো।
মোর বধুয়ার রূপ তেমনি ঝিলমিল করে কৃষ্ণ-কালো।
ও সে প্রেমেরও
ঘাটে ঘাটে বাঁশি বাজায়।
যদি দেখিস তারে দিস সে পদ্ম তার পায়।
যদি দেখিস তারে দিস সে পদ্ম তার পায়।
বলিস কেন বুকে
আশার দেয়ালে জ্বালিয়ে
চলে গেলো চির অন্ধকারে।।
চলে গেলো চির অন্ধকারে।।
(০৯)
ভালোবেসে, সখী, নিভৃতে যতনে
ভালোবেসে, সখী, নিভৃতে যতনে
আমার নামটি লিখো-তোমার
মনের মন্দিরে।
আমার পরানে যে গান বাজিছে
তাহার তালটি শিখো-তোমার
চরণমঞ্জীরে।।
ধরিয়া রাখিয়ো সোহাগে আদরে
আমার মুখর পাখি – তোমার
প্রাসাদপ্রাঙ্গণে।
মনে ক’রে সখী, বাঁধিয়া রাখিয়ো
আমার হাতের রাখী – তোমার
কনককঙ্কণে।।
আমার লতার একটি মুকুল
ভুলিয়া তুলিয়া রেখো – তোমার
অলকবন্ধনে।
আমার স্মরণ-শুভ-সিন্দুরে
একটি বিন্দু এঁকো-তোমার
ললাটচন্দনে।
আমার মনের মোহের মাধুরী
মাখিয়া রাখিয়া দিয়ো-তোমার
অঙ্গসৌরভে।
আমার আকুল জীবনমরণ
টুটিয়া লুটিয়া নিয়ো-তোমার
অতুল গৌরবে।।
আমার নামটি লিখো-তোমার
মনের মন্দিরে।
আমার পরানে যে গান বাজিছে
তাহার তালটি শিখো-তোমার
চরণমঞ্জীরে।।
ধরিয়া রাখিয়ো সোহাগে আদরে
আমার মুখর পাখি – তোমার
প্রাসাদপ্রাঙ্গণে।
মনে ক’রে সখী, বাঁধিয়া রাখিয়ো
আমার হাতের রাখী – তোমার
কনককঙ্কণে।।
আমার লতার একটি মুকুল
ভুলিয়া তুলিয়া রেখো – তোমার
অলকবন্ধনে।
আমার স্মরণ-শুভ-সিন্দুরে
একটি বিন্দু এঁকো-তোমার
ললাটচন্দনে।
আমার মনের মোহের মাধুরী
মাখিয়া রাখিয়া দিয়ো-তোমার
অঙ্গসৌরভে।
আমার আকুল জীবনমরণ
টুটিয়া লুটিয়া নিয়ো-তোমার
অতুল গৌরবে।।
আজি ঝরো ঝরো মুখর
বাদলদিনে
জানি নে, জানি নে কিছুতে কেন
যে মন লাগে না ॥
এই চঞ্চল সজল পবন-বেগে উদ্ভ্রান্ত
মেঘে মন চায়
মন চায় ওই বলাকার
পথখানি নিতে চিনে॥
মেঘমল্লারে সারা দিনমান
বাজে ঝরনার গান।
মন হারাবার আজি বেলা, পথ ভুলিবার
খেলা- মন চায়
মন চায় হৃদয় জড়াতে কার চিরঋণে…
জানি নে, জানি নে কিছুতে কেন
যে মন লাগে না ॥
এই চঞ্চল সজল পবন-বেগে উদ্ভ্রান্ত
মেঘে মন চায়
মন চায় ওই বলাকার
পথখানি নিতে চিনে॥
মেঘমল্লারে সারা দিনমান
বাজে ঝরনার গান।
মন হারাবার আজি বেলা, পথ ভুলিবার
খেলা- মন চায়
মন চায় হৃদয় জড়াতে কার চিরঋণে…
(১০)
আমার ও পরান ও যাহা চায়
আমার ও পরান ও
যাহা চায়
তুমি তাই , তুমি তাই গো
আমার ও পরান ও যাহা চায়
তুমি তাই , তুমি তাই গো
আমার ও পরান ও যাহা চায়
তোমা ছাড়া আর এ
জগতে
মোর কেহ নাই কিছু নাই গো
আমার ও পরান ও যাহা চায়
মোর কেহ নাই কিছু নাই গো
আমার ও পরান ও যাহা চায়
তুমি সুখ ও যদি
নাহি পাও
যাও সুখের ও সন্ধানে যাও …(২ বার)
যাও সুখের ও সন্ধানে যাও …(২ বার)
আমি তোমারে
পেয়েছি হৃদয় ও মাঝে
আর ও কিছু নাহি চায় গো ও
আর ও কিছু নাহি চায় গো ও
আমার ও পরান ও
যাহা চায়
তুমি তাই তুমি তাই গো
আমার ও পরান ও যাহা চায়
তুমি তাই তুমি তাই গো
আমার ও পরান ও যাহা চায়
আমি তোমার ও
বিরহে
রহিব বিলীন ও
তোমাতে করিব বাস
দীর্ঘ দিবস ও , দীর্ঘ রজনি
দীর্ঘ বরস ও মাস … (২ বার)
রহিব বিলীন ও
তোমাতে করিব বাস
দীর্ঘ দিবস ও , দীর্ঘ রজনি
দীর্ঘ বরস ও মাস … (২ বার)
যদি আর ও কারে
ভালবাসো
যদি আর ও ফিরে নাহি আসো … (২ বার)
তবে তুমি যাহা চাও
তাই যেন ও পাও
আমি যত ও দুঃখ পাই গো
যদি আর ও ফিরে নাহি আসো … (২ বার)
তবে তুমি যাহা চাও
তাই যেন ও পাও
আমি যত ও দুঃখ পাই গো
আমার ও পরান ও
যাহা চায়
তুমি তাই তুমি তাই গো
আমার ও পরান ও যাহা চায়
তুমি তাই তুমি তাই গো
আমার ও পরান ও যাহা চায়
তোমা ছাড়া আর এ
জগতে
মোর কেহ নাই কিছু নাই গো
আমার ও পরান ও যাহা চায়
মোর কেহ নাই কিছু নাই গো
আমার ও পরান ও যাহা চায়
(১১)
যখন পড়বে না মোর পায়ের চিহ্ন
যখন পড়বে না মোর পায়ের চিহ্ন এই বাটে,
আমি বাইব না মোর খেয়াতরী এই ঘাটে,
চুকিয়ে দেব বেচা কেনা,
মিটিয়ে দেব গো,
মিটিয়ে দেব লেনাদেনা,
বন্ধ হবে আনাগোনা এই হাটে-
তখন আমায় নাইবা মনে রাখলে,
তারার পানে চেয়ে চেয়ে নাইবা আমায় ডাকলে
যখন জমবে ধূলা তানপুরাটার তারগুলায়,
কাঁটালতা উঠবে ঘরের দ্বারগুলায়, আহা,
ফুলের বাগান ঘন ঘাসের পরবে সজ্জা বনবাসের,
শ্যাওলা এসে ঘিরবে দিঘির ধারগুলায়-
তখন আমায় নাইবা মনে রাখলে,
তারার পানে চেয়ে চেয়ে নাইবা আমায় ডাকলে
তখন এমনি করেই বাজবে বাঁশি এই নাটে,
কাটবে দিন কাটবে,
কাটবে গো দিন আজও যেমন দিন কাটে, আহা,
ঘাটে ঘাটে খেয়ার তরী এমনি সে দিন উঠবে ভরি-
চরবে গরু খেলবে রাখাল ওই মাঠে.
তখন আমায় নাইবা মনে রাখলে,
তারার পানে চেয়ে চেয়ে নাইবা আমায় ডাকলে
তখন কে বলে গো সেই প্রভাতে নেই আমি.
সকল খেলায় করবে খেলা এই আমি - আহা,
নতুন নামে ডাকবে মোরে, বাধবে নতুন বাহু-ডোরে,
আসব যাব চিরদিনের সেই আমি.
তখন আমায় নাইবা মনে রাখলে,
তারার পানে চেয়ে চেয়ে নাইবা আমায় ডাকলে ।।