সোনামণি
আব্দুল হাকিম
যত পারো ততবেশি
পড়াশোনা করো
হবে তুমি বড় ।
বেশি বেশি পড় যদি
খেলাধুলা ঘোরাঘুরি
কম যাও মাঠে
ইস্কুলে রোজ গিয়ে
মন দাও পাঠে।
ঠিক করে গুরুজনে
ভক্তিটা আনো
পিতামাতা যা বলেন
সেই কথা মানো।
প্রতিদিন ভোরবেলা
ঘুম থেকে ওঠো
ফজরের জামায়াতে
মসজিদে ছোটো।
মকতবে যেতে রোজ
যেও না গো ভুলে
কুরআন পাঠেতেই
থাকো মশগুলে ।
পাখির বাসা
আব্দুল হাকিম
ঐ যে দূরে পাখির বাসা
গহীনবনের মাঝে
আমার এ মন যায় হারিয়ে
সকাল-দুপুর-সাঁঝে|
সারাবনে খুঁজে বেড়াই
ছোট্টপাখির ছানা
খাঁচায় ভরে পুশতে গেলে
আম্মু করে মানা|
ময়না-টিয়ে,দোয়েল-কোয়েল
আমার প্রিয়পাখি
চুপিচুপি যাই ছুটে যাই
মিষ্টি সুরে ডাকি|
হইচই
আব্দুল হাকিম
খোকাখুকি গেলি কই
নিরবতা পেলি কই
ফুলবনে ছুটে গিয়ে
আয় করি হইচই!
চুপ থাকা আমি নই
ডানা মেলে করি হই!
ওড়াওড়ি ঘোরাঘুরি
সারাক্ষণ মেতে রই।
মিতেপাতি হাত কই
মিলে দিয়ে এক হই
কানামাছি, দৌড়ঝাঁপে
আয় তোরা খেলি সই।
ফড়িংরাজা
আব্দুল হাকিম
সারাগাঁয়ে আমি ছিলাম
ফড়িংরাজা
ফড়িং ধরে নিত্য ঘরে
দিতাম সাজা।
পাখা দু’টি কেটে দিলে
বন্ধ ওড়া
আমার তখন ফড়িং হতো
টাট্টুঘোড়া।
লালফড়িং এ ভাবজমাতো
দিনে-রাতে
জিগার আঠায় বশীভূত
আমার হাতে।
কই পালাবে? ভেবে সারা
গযব রেখে
ছোটাছুটি থেমে যেত
আমায় দেখে।
আম্মু বলে
আব্দুল হাকিমআম্মু বলে বৃষ্টি হলে
বন্ধ ভেজা
কিন্তু আমি মানলে কী তা
বলুক সে যা।
ভরদুপুরে খেলতে গেলে
করছে মানা
আমি এদিক ব্যাস্ত থাকি
নাই কী জানা?
রোজ পুকুরে সময় নিয়ে
গোসল দিলে
আম্মু কেন বকে আমায়
আব্বু মিলে?
হঠাৎ আমি লম্বা গাছে
চড়তে নিলে
দেখলে তারা যাবো কোথায়?
চমকে পিলে।
আমার যে তা ভাল লাগে না
বুঝলে তারা?
ইচ্ছে করে আমার হতে
বাঁধনহারা।
শিয়ালের বিয়ে
আব্দুল হাকিমআয়রে তোরা দেখবি নাকি?
বৃষ্টিভেজা রোদে;
খেঁকশিয়ালে করবে বিয়ে
বাঘমামাকে নায়র নিয়ে
সিংহ সংসদে।
আসলপাত্রি লুকিয়ে রেখে
কন্যা সাঁজে ব্যাঙে;
এইনা দেখে শিয়াল ব্যাটা
হাতে উঁচিয়ে কুঞ্চি-ঝাঁটা
মারল তার ঠ্যাঙে।
সিংহমামা রাগ করেছে
এখন কি যে হবে?
বিয়েটা যদি ঠিকঠাকেই
হয়েই যেত যে এখনেই
থামবে মামা তবে।
.
চিন্তা শেষে দেখে সবাই
এলো আসলকন্যা
মেঘবাঁদরে পালকি নিয়ে
বিড়াল এলো ঘোমটা দিয়ে
বয়ে খুশির বন্যা।
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন